ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারাল ইলন মাস্কের রকেট

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ০১:৩৬:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৮-০৫-২০২৫ ০১:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন
মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারাল ইলন মাস্কের রকেট ফাইল ছবি
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএযের আরও একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে। মূলত উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে স্পেসএক্সের স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। একপর্যায়ে সেটি বিস্ফোরিত হয় এবং আকাশে তার ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পরই তাদের নবম স্টারশিপ পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে এটি ‘বিস্ফোরিত’ হয়।  এ ব্যাপারে স্পেসএএক্সের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, রকেটটিতে জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে এটি মহাকাশে ঘুরপাক খেতে থাকে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনরায় ঢুকে পড়ে। পরে এটি দ্রুত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।স্পেসএক্স লিখেছে, এই ধরনের পরীক্ষায় সাফল্য আসে শেখা থেকে। আজকের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে স্টারশিপের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

আল জাজিরা বলছে, ১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উঁচু এই রকেটটি ইতোপূর্বে যতবার উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, সে তুলনায় এবার তা অনেকটা বেশী পথ পাড়ি দিয়েছিল, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। এর আগে, গত ৬ মার্চ আরেকটি স্টারশিপ রকেটও উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছিল।মূলত, স্টারশিপ প্রকল্পের পেছনে এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন ইলন মাস্ক। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার পথ তৈরি করা। এছাড়া, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে স্পেসএক্স।

স্পেসএএক্সের এই বিশালাকৃতির রকেটগুলো এর আগে একাধিকবার দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি, মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) রকেট উৎক্ষেপণের কারণে ফ্লোরিডার চারটি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়, যার মধ্যে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও রয়েছে।তাই এফএএ এবার স্টারশিপ উৎক্ষেপণের জন্য আকাশসীমা প্রায় দ্বিগুণ করে ২ হাজার ৯৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করেছে। এ পরীক্ষার জন্য যুক্তরাজ্য, বাহামা, তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং কিউবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে স্পেসএক্স।
 
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ